সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হচ্ছেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে উনার হাবীব, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি পবিত্র ওহী মুবারক উনার মাধ্যমে নাযিলকৃত একমাত্র পরিপূর্ণ, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত, অপরিবর্তনীয় ও মনোনীত দ্বীন বা নিয়মনীতি, যা ক্বিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে”।
আর পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার শাসন ব্যবস্থা হচ্ছে সম্মানিত খিলাফত আলা মিনহাজিন নবুওয়াহ অর্থাৎ সম্মানিত নবুওয়াত উনার দৃষ্টিতে খিলাফত; যা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের ভিত্তিতে পরিচালিত। পক্ষান্তরে গণতন্ত্র হচ্ছে মানবরচিত শাসন ব্যবস্থা; যার আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা মানুষ অর্থাৎ কাফির কর্তৃক প্রবর্তিত।
মূলত, গণতন্ত্র হচ্ছে হারাম এবং কুফরী শাসন ব্যবস্থা; যা মুসলমানদের দেশে চালু করে দেয়া ইহুদী-খ্রিস্টানদের একটি সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র, যাতে করে মুসলমানরা মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নাযিলকৃত শাসন ব্যবস্থা (সম্মানিত খিলাফত) তথা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম থেকে সরে গিয়ে মানবরচিত শাসন ব্যবস্থা গণতন্ত্রের মাধ্যমে কুফরী করে ঈমানহারা হয়ে মৃত্যুবরণ করে। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে গ্রীসে গণতন্ত্রের উৎপত্তি; যা পরবর্তীতে বিকাশ লাভ করে কাট্টা কাফির চির জাহান্নামী আব্রাহাম লিংকনের মাধ্যমে। তার নিজের এবং তার মায়ের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আব্রাহাম লিংকন ছিল অবৈধ সন্তান। নাঊযুবিল্লাহ! তার মা ছিল ইহুদী আর অবৈধ বাবা ছিল খ্রিস্টান।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম হলেন একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান (পড়সঢ়ষবঃব ঈড়ফব ড়ভ ষরভব); যেখানে সুন্দর জীবনযাপন, সমাজ ব্যবস্থা বা দেশ পরিচালনার জন্য যত নিয়মনীতি বা আইন-কানুন প্রয়োজন সব কিছুই নিখুঁতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সমস্ত কিছুই প্রকাশ্যে কিতাবে (কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে) রয়েছে” (পবিত্র সূরা হুদ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬)
আরো ইরশাদ মুবারক করা হয়েছে, “আমি কিতাবে কোনো কিছুই (আলোচনা করতে) বাদ দেইনি” (পবিত্র সূরা আনআম শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৮) সুবহানাল্লাহ!
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম আসার পর পবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা অতীতের সমস্ত দ্বীন এবং অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের তন্ত্র-মন্ত্রসহ সকল প্রকার মানবরচিত মতবাদ বা শাসন ব্যবস্থাকে বাতিল ঘোষণা করে একমাত্র মহাসম্মানিত ইসলামকেই দ্বীন বা জীবনযাপনের ব্যবস্থা হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “তিনি অতীতের পবিত্র ওহী মুবারক দ্বারা নাযিলকৃত সম্মানিত দ্বীন এবং অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ অর্থাৎ সর্বকালের সমস্ত মানবরচিত মতবাদ বা নিয়মনীতিকে রদ করে অর্থাৎ বাতিল ঘোষণা করে মহাসম্মানিত সত্যদ্বীন ও হিদায়েত দিয়ে উনার মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাস্সাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে সাক্ষী হিসেবে মহান আল্লাহ পাক তিনিই যথেষ্ট।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা ফাতাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৮)
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম আসার পর উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক তিনি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, ইহুদী ইত্যদি ধর্মসহ মানবরচিত গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্রসহ সমস্ত মতবাদ বাতিল করে দিয়েছেন এবং একমাত্র সম্মানিত দ্বীন ইসলামকেই সমস্ত মানব জাতির জন্য ধর্ম হিসেবে মনোনীত করেছেন। কাজেই সম্মানিত দ্বীন ইসলাম আসার পর আর কেউ ইসলাম ব্যতীত গণতন্ত্রসহ অন্যকোনো মতবাদ বা ধর্ম পালন করতে পারবে না। করলে তারা হবে খোদাদ্রোহী কাফির এবং লা’নতগ্রস্ত। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, “যে লোক সম্মানিত ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম বা তর্জ-তরীক্বা তালাশ করবে, তা কখনই গ্রহণ করা হবে না এবং সে পরকালে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।” (পবিত্র সূরা আল ইমরান শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
কাজেই খিলাফত ছাড়া কোনো বিধর্মীদের প্রবর্তিত কোনো নিয়মকানুন অনুসরণ করা কোনো মুসলমান উনাদের পক্ষে মোটেও বৈধ নয়, কাট্টা হারাম, কুফরী।